দেশের চামড়া শিল্পের প্রায় ৫০শতাংশ আসে কোরবানি ঈদের মৌসুমি চামড়ার ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে।
গতকাল সোমবার (১৭ জুন) দুপুর গড়াতেই চট্টগ্রামের অলিগলি, জেলা-উপজেলার থেকে শুরু হয়েছে কোরবানির জবাই করা পশুর চামড়া সংগ্রহ।
কিন্তু পশুর চামড়া সংগ্রহের পর বিক্রি করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন চামড়া ক্রেতা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আশানুরুপ দাম না পেয়ে লোকসানে তাঁরা হতাশ হয়ে পরেছে।কারো কারো কেনা মুল্য ও খরচ উঠেনি।
এদিকে,আড়তদাররা বলছেন, চামড়ার সঠিক পরিমাপের হিসাব না বোঝায় মৌসুমি ব্যবসায়ীদের লোকসান হচ্ছে।কারন মৌসুমি ব্যাবসায়ী হওয়ায় নতুন নতুন ব্যাবসায়ী মাঠে নেমেছেন এবং তারা চামড়ার যে পরিমাপ রয়েছে এই সম্পর্কে ধারনা ছিল না।যার কারনে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দিন জানান, কোরবানি পশুর চামড়া আগামী তিন দিন ধরে এই সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে। সরকার প্রতি বর্গফুটে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা নির্ধারণ করলেও এই দাম দিতে পারবে না বলেন তিনি।
এদিকে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এবারও চামড়া ব্যবসায় আড়তদারদের সিন্ডিকেটের কথা উল্লেখ করে তাঁরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, সরকার চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও আড়তদাররা তা শুনে না বলে অভিযোগ করেন।এখানে পরাই সিন্ডিকেট হয়ে গিয়েছে।