Ukhiya News Today

Ukhiya News Today

৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ

উখিয়ার কোটবাজারে এলিট ডেন্টাল কেয়ারের শুভ উদ্ভোদন | || শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, অধ্যাপক হলেন ৯২২ জন || পিসিওএসের কারণে হতে পারে বন্ধ্যত্ব || ইতিহাস-কারিগরের কলমে প্রগতি সাহিত্য || পদার্থবিজ্ঞানের অমীমাংসিত সমস্যা || কৃষিযন্ত্রে ভর্তুকি থাকবে কি, জানতে চেয়ে চিঠি || জো বাইডেনের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক আজ || দায়সারা ভাবে উখিয়ায় Handicap International (HI) প্রকল্পের সুচনা  সভা! ইউএনও’র তিরস্কার | || মায়ানমার থেকে অবৈধ ভাবে আসা চোরাই গরুর বৈধতা দেয় যারা | || সরকারী বনভূমি দখলের শীর্ষে উখিয়ার চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর! || উখিয়ার জঙ্গি জুবায়ের ও সহযোগী জাহাঙ্গীর চৌধুরী অধরা || চামড়া ব্যবসায় এবার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা হতাশ || ক্রমাগত লোকসানে থাকা সরকারি চিনিকলগুলোকে আবার ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের সাথে যৌথ উদ্যোগ || বদি থেকে পলক সবার ফল খাওয়া খাইরু চৌধুরী’র বিরুদ্ধে মামলা || উখিয়ায় ড্রাইভারের ছেলে শত কোটি টাকার মালিক মাদক কারবারির কিং সেই ইউপি মেম্বার সালাহউদ্দিন || ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ৯২ নোবেল বিজয়ীর চিঠি || পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগ: রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যাওয়া যাবে না সেন্টমার্টিন || টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১ লাখ ২০ হাজার পিস ই’য়াবা উদ্ধার || মাধ্যমিকে ফিরছে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা || উখিয়ার আলোচিত ওপেন টাওয়ারের মালিক, শূন্য থেকে কোটিপতি সেই “মহিউদ্দিন” ||
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

পদার্থবিজ্ঞানের অমীমাংসিত সমস্যা

সবে হাইস্কুল পাস করেছেন ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক। বয়স মাত্র ১৬। যাকে বলে সুইট সিক্সটিন! কিন্তু ম্যাক্সের সময়টা তেমন সুইট কাটছিল না। স্রেফ একটা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল মাথার ভেতর। সেটাকে দুশ্চিন্তা বলাই ভালো। শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। কিন্তু সেখানে কী নিয়ে পড়ালেখা করবেন, তা নিয়ে বেশ দ্বিধায় আছেন। একবার ভাবলেন, সংগীতই বেছে নেবেন। পিয়ানোতে হাতটা বেশ পাকা। গানেও কম যান না। সেই বয়সে কিছুটা নামডাকও হয়েছে। কিন্তু ক্যারিয়ার হিসেবে সেটা বেছে নিলে কেমন হবে?

এক অধ্যাপককে কথাটা জিজ্ঞেস করলেন কিশোর প্ল্যাঙ্ক। শুনেই খেপে গেলেন অধ্যাপক। কর্কশভাবে উত্তর দিলেন, ‘এ কথা যদি জিজ্ঞেস করতে হয়, তাহলে সংগীত নিয়ে পড়ালেখা না করাই ভালো। অন্য কিছু খুঁজে নাও গিয়ে।’

আবারও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে লাগলেন প্ল্যাঙ্ক। উদ্ধার করতে এগিয়ে এলেন বাবা উইলহেম প্ল্যাঙ্ক। ১৮৭৪ সালের শেষ দিকে একটা সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করে দিলেন অধ্যাপক ফিলিপ ভন জলির সঙ্গে। জার্মানির মিউনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা পদার্থবিদ তিনি। কিন্তু অবাক কাণ্ড! নিজে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও প্ল্যাঙ্ককে পদার্থবিজ্ঞানে পড়তে নিরুৎসাহিত করলেন জলি। তাঁর যুক্তি, পদার্থবিজ্ঞানের প্রায় সবকিছু আবিষ্কৃত হয়ে গেছে। এখন যেটুকু বাকি আছে, তা অগুরুত্বপূর্ণ। তাই পদার্থবিজ্ঞানের ক্যারিয়ার মানে ভবিষ্যৎ নির্ঘাত অন্ধকার। প্ল্যাঙ্ককে তিনি পদার্থবিদ্যায় নয়, গণিতে পড়ার পরামর্শ দেন।

পদার্থবিজ্ঞানের ভবিষ্যৎ নিয়ে এ মন্তব্যের কারণে ফিলিপ ভন জলিকে ইতিহাস ক্ষমা করেনি। তবে শুধু জলিকে দোষ দিয়েও লাভ নেই। একই ভুল করেছেন সেকালের নামকরা আরও অনেক পদার্থবিদ। যেমন নোবেলজয়ী মার্কিন বিজ্ঞানী আলবার্ট এ মাইকেলসন। সহকর্মী এডওয়ার্ড মর্লির সঙ্গে ১৮৮৭ সালে একটা পরীক্ষা করেন তিনি। সেটি মাইকেলসন-মর্লির পরীক্ষা নামে বিখ্যাত। এর মাধ্যমে সেকালের প্রচলিত অলীক, অবাস্তব ইথারতত্ত্ব বাতিল করেন তাঁরা। বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব গড়ে তোলার পেছনে এটিই ইন্ধন জোগায় আইনস্টাইনকে।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *