নিজস্ব প্রতিবেদক।
কক্সবাজারের উখিয়ার রেঞ্জের অধীনে ২০০৯ সাল থেকে কোন প্রকার সরকারি অনুমতি না নিয়ে প্রায় চল্লিশ একর সরকারি বনভূমি উজাড় করে বাণিজ্যিকভাবে আমের বাগান গড়ে তুলেছেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। উখিয়া সদর বিটের আওতায় মহাসড়কের একেবারে সন্নিকটে রাজাপালং ইউপির টিএনটি – ধলিয়াঘোনা এলাকায় জায়গাটি অবস্থিত।
স্থানীয়দের দাবি প্রায় চল্লিশ হাজার আকাশমনি গাছ কর্তন করে তিনি জায়গাটি দখল করেছেন। জায়গাটি নিজের আয়ত্তে আনতে তিনি ধানি জমি ও বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছের বাগান সৃষ্টি করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের শ্রেণী পরিবর্তন করায় লোকজন এটাকে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বাগান হিসেবে অভিহিত করেন। বাগান পাহারায় বসিয়েছেন কমপক্ষে পাঁচটি পাহারাদার ঘর।
পরিবেশবাদীরা বলছেন ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে এই জায়গাটির অনেক অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। হিসাব করলে দেখা যায় জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী প্রায় ৫০ কোটি টাকার বনভূমি উজাড় করেছেন। নাগরিক সমাজের প্রশ্ন বন বিভাগকে ফাঁকি দিয়ে বন আইন লঙ্ঘন করে তিনি কিভাবে এত বড় জায়গা দখলে নিলেন। নাগরিক সমাজ এত বড় সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংস করে নিজস্ব বাণিজ্যিক বাগানের পরিণত করায় বনবিভাগের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কক্সবাজার দক্ষিণ মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেছেন জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সহকারি বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বনবিভাগের জায়গাটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে বলে জানান।
বর্তমানে সরকারি বনভূমি দিন দিন কমে আসছে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলায় সরকার, জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর কাছে পরিবেশবাদীদের প্রত্যাশা উখিয়ার একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি হিসেবে সরকারি জায়গা দখল ছেড়ে দিয়ে পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় তিনি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন। জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি