আলাউদ্দিন শাহরিয়ার, বান্দরবান।। বান্দরবানে বেড়েছে ভূমি জালিয়াতচক্রের দৌরাত্ম্য।  কেটে নেওয়া হচ্ছে বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ। তারপর সেই জায়গা করা হচ্ছে বিক্রি। রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তার চোখেও দেওয়া হচ্ছে ধুলো, করে নেওয়া হয়েছে জমির ভুয়া রেজিস্ট্রেশন। এমন সব অভিযোগের পাশাপাশি দাবি করা হচ্ছে, এসব কাজে সংশ্লিষ্ট অফিসের লোকজনের সঙ্গেও বিনিময় হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূয়ালকের কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠের অভিযোগ, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখে জমিগুলো চট্টগ্রাম বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল ছিল। গর্জন, কড়াইসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান বড়বড় মাদার ট্রি ছিল। সবগুলো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। তাদের দাবি, বনবিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই নাকি চলে এসব কাজ।

সূয়ালকের বাসিন্দার জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি কাজী নাছিরুল আলমের অভিযোগ, ‘সূয়ালক বাজার থেকে হলুদিয়া বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের বনাঞ্চলের জায়গাটি চট্টগ্রাম বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমি। ছোটবেলা থেকেই দেখেছি, বনবিভাগের লোকজন জায়গাটির রক্ষণাবেক্ষণ এবং গাছের চারা রোপন ও পরিচর্যা করত। কিন্তু ভূমি জালিয়াতি চক্র জেলা প্রশাসনের সাবেক এক কর্মচারীর নামের ভূয়া কাগজপত্র চৌহদ্দি মিলিয়ে বসিয়ে রাতের আঁধারে সবগুলো গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। গাছের গোড়ার চিহ্নগুলো এখনও দৃশ্যমান। শুনেছি, বিভিন্ন জনের নামে বনবিভাগের সরকারি জমিগুলো বিক্রিও করে দিচ্ছেন সাইনবোর্ড লাগিয়ে।’

By Editor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *