এইচ.কে রফিক উদ্দিন/উখিয়া নিউজ টুডে।। উখিয়ার শীর্ষ পাহাড় খেকো ছৈয়দ আহমেদ (৪৫) রাজাপালং ইউনিয়নের ওয়ালা মৌজার মাছকারিয়া এলাকার একটি (সরকার মালিকানাধীন) খাস টিলা জায়গা,নাম সর্বস্ব তিন মালিক থেকে ক্রয় করেছে বলে ভূমি জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রায় ১০-১২ টি পরিবারকে উচ্ছেদ করে জোর পূর্বক জায়গা জবর দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হওয়ায় বিপাকে পড়েন ভুমিহীন পরিবারগুলো।
সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ছৈয়দ আহমেদ’র মামলা সুত্রে জানা যায়,সে ১৯৭০ সালে বে-রেজিষ্ট্রেশন সাফ কবলা দলিল মুলে জমিদার থেকে নিজেই জমিটি ক্রয় করে।তবে ছৈয়দ আহমেদের জাতীয় পরিচয় পত্র দেখে জানা যায়, সে ১৯৭৫ সালের ৩রা এপ্রিল জন্ম গ্রহণ করে।তার ক্রয়কৃত দলিলে ঠিকানা রাজাপালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড লিপিবদ্ধ আছে,তবে তৎকালীন সময়ে রাজাপালং ইউনিয়ন সৃষ্টি হয়নি।অদৃশ্য ইউনিয়নের ওয়ার্ড চলে আসায় সচেতন মহল বলছে দলিল জালিয়াতি করে,ভুমিহীন পরিবার গুলোকে উচ্ছেদ করার পায়তারা চালাচ্ছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান,ছৈয়দ আহমেদ গং ইতিপূর্বেও তার নিকট জমির দলিল আছে বলে মৌখিক ভাবে হুমকি দিতে থাকে।আমরা স্হানীয় চেয়ারম্যানের নিকট বিচার প্রার্থনা করলে ছৈয়দ আহমেদ জায়গায় কাগজ পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়।
মোহাম্মদ হোসেন নামক আরেক ভুক্তভোগী বলেন,এই জমিতে আমাদের পূর্বপুরুষ যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে।হঠাৎ ছৈয়দ আহমেদ লোভের বশীভূত হয়ে ভুঁয়া দলিল সৃষ্টি করে কেড়ে নেওয়ার জন্য পায়তারা চালিয়ে আসছে।তাই উক্ত বিষটি যাচায় বাচায় করে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার দাবী করছি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ছৈয়দ আহমেদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা যায়।