গফুর মিয়া চৌধুরী/উখিয়া নিউজ টুডে।। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রুতে গ্রামে লোমহর্ষক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ৫দিন পরও দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি নাইক্ষংছড়ি থানার পুলিশ।
সন্ত্রাসীরা স্হানীয় গ্রাম পুলিশ আবদুল জব্বারের পরিবারের সকল সদস্যদের উপর নির্বিচারে ধাঁরালো কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নির্মমভাবে আহত করে।
ঘটনাটি ঘটেছে, গত ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় গ্রাম পুলিশ আবদুল জব্বারে বাড়ির বসত ভিটায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলেরা বেআইনী জনতা গঠন করে ধাঁরালো অস্ত্র সশস্ত্র নিয়ে অবৈধ ভাবে জব্বারে বসত ভিটায় অনাধিকার প্রবেশ করে গাছপালা কেটে জবর দখল করতে গেলে জব্বারের পরিবারের সদস্যরা বাঁধা প্রদান করলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের উপর বেপরোয়া চালায়। এতে সন্ত্রাসীদের হামলায় জব্বারের পরিবার রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।
এতে আবদুল জব্বারের ছোট মেয়ে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের চাকুরীরত মর্জিনা আক্তারের(১৮) বাম পায়ের হাঁটু মারাত্নক জখম হয়, একই সাথে কিরিচের কোপে ডান হাত হাতে হাঁড় কেটে গেলে অপারেশন দিতে হয়। দ্বিতীয় মেয়ে তসলিমা আক্তারের (২০) একটি হাত কেটে খন্ড বিখন্ড হয়ে গেলে সার্জারী অপারশন হয়। ঢাকা শ্বশুড় বাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসা বড় মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার মুন্নিকে (২৫) এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে আহত করে। আহতদের আত্নীয়স্বজনরা স্হানীয় লোকজনের সহযোগিতায় প্রথমে উখিয়া স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্হা সংকটাপন্ন দেখে তাক্ষনিক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে বর্তমানে রেফার করে দেন।
বর্তমানে গুরুতর আহতরা সদর হাসপাতালের ৫তলায় চিকিৎসার্ধীন অবস্হায় রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদক আহতদের দেখলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আহতদের অবস্হা খুবই খারাপ। দুইজনকে হাতে অপারেশন করা হয়েছে। ভালো হতে দীর্ঘ সময় লাগবে।