নিজস্ব প্রতিবেদক।
উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর (উদ্যোক্তা) উসমান সরওয়ার শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার চাঞ্চল্যকর রহস্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বিগত ৮/১০ বছর আগে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদে কম্পিউটার অপারেটরের দায়িত্ব পান কথিত দূর্ণীতিবাজ উসমান। এক অদৃশ্য শক্তির চত্রছায়ায় বেড়ে উঠে এ উসমান। এর পর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় কাগজপত্র কম্পিউটার প্রিন্ট করার নামে ক্ষমতাশীনদের যোগসাজশে জনসাধারণের নিকট থেকে বিভিন্ন ভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভাগবাটোয়ারা করেছে। ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম সনদ, মৃত্যু সনদ, পারিবারিক সনদ, প্রত্যয়ন পত্র, বিশেষ প্রত্যয়ন পত্র, ওয়ারিশ সনদ, ভুমিহীন সনদ, চারিত্রিক সনদ, ট্রেড লাইসেন্স ও রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে জন্ম সনদ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই দূর্ণীতিবাজ চক্রটি। সম্প্রতি কথিত উসমান উখিয়া বাজারের দক্ষিণ পাশে ১০ শতক জমি প্রায় অর্ধকোটি টাকা দামে ক্রায় করেছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও খোদ উখিয়ার বন রেঞ্জ কার্যালয়ের পাশে বনবিভাগের জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলেও কথিত পিচ্চি উসমানের ক্ষমতার কাছে বন কর্মকর্তারা অসহায় হয়ে পড়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে উখিয়ার বন রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তাঁর ব্যবহিত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ইতিমধ্যে উখিয়ার সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে কথিত দূর্ণীতিবাজ উসমানকে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি কপি এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। আগামীতে কথিত উসমানের দূর্ণীতির ডাল পালার বিস্তৃতি নিয়ে প্রকাশিত হবে পর্ব: ২