রেজাউল করিম চৌধুরী, কক্সবাজার।
মাছ ব্যবসার আড়ালে উখিয়ায় নিরবে চলছে ( বরর্মাইয়া ) মানূরের ইয়াবা বাণিজ্য।
কক্সবাজারের উখিয়ায় মাছ ব্যবসার আড়ালে সক্রিয়ভাবে পরিচালিত হচ্ছে (মানূরের) ইয়াবার অবৈধ বাণিজ্য। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় মিয়ানমারের বরর্মাইয়া (মানূর) এই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে, কখনো মাছের ট্রাকে, কখনো বা জেলেদের নৌকায় পাচার করা হচ্ছে লাখ টাকার ইয়াবা।
মাছ ব্যবসা, কিন্তু মূল টার্গেট ইয়াবা ;
উখিয়ার বিভিন্ন বাজারে বরর্মাইয়া গোষ্ঠীর বেশ কিছু মাছ ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা মূলত ইয়াবা পাচারের আড়ালে এই ব্যবসাকে ব্যবহার করছে। মূল উখিয়া বাজারে বিভিন্ন মাছ আড়তের সঙ্গে সংযুক্ত থাকলেও মূলত তাদের আসল পুঁজি মাদক ব্যবসায়। দিনে দুপুরে ও বিশেষ করে রাতের আঁধারে মাছের চালানের সঙ্গে ইয়াবার চালান বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ার পর এসব ব্যবসায়ী নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। ইয়াবা বহনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বদ্ধ ক্যারেট, বরফের নিচে রাখা মাছের বাক্স কিংবা মাছ ধরার ট্রলার।
সূত্র নিশ্চিত করেছে, উখিয়া মাছ বাজারের ব্যবসায়ি বুলু সাওদাগারের মেয়ের জামাই বরর্মাইয়া মানূর। সীমান্তের শীর্ষ ইয়াবা কারবারি হওয়ায় তার কোটি কোটি টাকা বুলু সাওদাগার মেয়ের জামাই সুবাদে নিজের নামে-বেনামে ব্যাংকে মজুদ করেছে।
বর্রমাইয়া মাহনূরকে বাংলাদেশী বানাতে তার শাশুর বুলু সিকদার সরকারি বেসরকারি ও ইউনিয়ন পরিষদের অনেক কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানাগেছে, উখিয়া থানার এক পুলিশ অফিসারের সাথে বরর্মাইয়া মানূরের বিশেষ সখ্যতা রয়েছে, যার সুবাদে মাহনূর মাদক ব্যবসা বীরদর্পে চালিয়ে গেলেও নিরব প্রশাসন।
অভিযোগ রয়েছে, বরর্মাইয়া মানূর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী পাচার করার, পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ধর্ষণেরও অভিযোগ রয়েছে।