মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও কক্সবাজারের ঈদগাঁও খালের পানিতে ডুবে নিখোঁজ দুই সন্তানের জনক আরমানের কোন খোঁজ মিলেনি। আজ সোমবার সহ তিন দিন তার খোঁজে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়।
উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া রাজঘাট সংলগ্ন ঈদগাঁও খালে ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওই যুবক নিখোঁজ হয়।
ডুবে যাওয়া মোহাম্মদ আরমান (২৫) একই উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের মেহের ঘোনার ছাবের আহমদের ছেলে।
নিখোঁজের শশুর সিরাজুল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যায় কাজ শেষ করে শশুর বাড়িতে ফেরার সময় ঈদগাঁও খাল পারাপার করছিল তার জামাতা আরমান। অন্যদিনের তুলনায় এদিন খালে পাহাড়ি ঢলের স্রোত বেশি ছিল। তা সত্ত্বেও আরমান তার সাথে থাকা দুইজন সহ খাল পার হতে চেষ্টা করে। ঐ দুইজন সাঁতার কেটে কোন মতে নদীর তীরে উঠতে পারলেও আমার মেয়ের স্বামী আরমান নদীতে নিখোঁজ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ফজলুল হক ও রাশেল মিয়া জানান, আমরা খাল পার হবার সময়ও একই সাথে ছিলাম। সাঁতার কেটে খালের পাড়ে আসর পর আরমানকে দেখতে না পেয়ে আমরা আশপাশের মানুষ ডাকাডাকি করি। সম্ভাব্য অনেক জায়গায় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রামু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের স্টেশন অফিসার সৌমেন বড়ুয়ার নেতৃত্বে উদ্ধার এ অভিযানে চট্টগ্রাম থেকে আগত ডুবুরি দল, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসন এবং এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। আজ তৃতীয় দিন ডুবুরি দল ঘটনাস্থল রাজঘাট অঞ্চল, জালালাবাদের বাঁশঘাটা এলাকা এবং রাবার ড্যাম সংলগ্নসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক উদ্ধার অভিযানে নামেন। সকাল থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান দুপুর একটার দিকে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। রাবারড্যাম সংলগ্ন স্থানে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন রামু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার সৌমেন বড়ুয়া।
তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে আমরা ঈদগাঁও খালের সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে আরমানের মরদেহ খুঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। সম্ভবত প্রবল স্রোতের কারণে তার লাশটি পানির সাথে চলে গেছে।
এর আগেরদিন তিনি বলেছিলেন,
খালে ডুবে এক ব্যক্তি নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি।
কিন্তু ঘটনার সময় রাতে অন্ধকার ও নদীর স্রোত বেশি হওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়নি। পরদিন রবিবার সকাল থেকে ডুবুরি দলের সদস্যরা
দিনব্যাপী উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েও কোন সন্ধান পাননি। একই দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আলম ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাক্তার এহসানুল হক।
উদ্ধার তৎপরতার প্রথম দিন ঈদগাঁও থানার এসআই শফিক ও এএসআই আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে পুলিশ দল ঘটনাস্থলে ছিলেন।
নিখোঁজ যুবকের খোঁজ না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবির ।
এদিকে তিন দিনেও পুত্রর সন্ধান না পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট পরিবারে চলছে চরম হাহাকার।