কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক লাগোয়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের টিভি টাওয়ার গরুর হাটে প্রতিনিয়তই ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা।
হাট নিয়ন্ত্রণ করা সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে এক কলেজ শিক্ষার্থী।
আহত যুবক উখিয়ার বালুখালী এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আজিজ (২২) বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে হাটের একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে, এসময় লুট করা হয় আজিজের হাতে থাকা গরু বিক্রির প্রায় ৩ লক্ষ টাকা।
আজিজের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক ব্যবসার কারণে আজিজ ঐ হাটে গেলে এক চা দোকানীর সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়।
একপর্যায়ে হাটের ইজারার রশিদ দিতে নিয়োজিত কর্মচারী ও হাটের দোকানীরা সহ সংঘবদ্ধ হয়ে ৫/৬ জন হামলা চালিয়ে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করলে আজিজের রক্তক্ষরণ হতে থাকে।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আজিজকে পার্শ্ববর্তী এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজারে প্রেরণ করেন।
এঘটনায় অভিযুক্ত তুমব্রু এলাকার বাসিন্দা শফিউল্লাহ (৩৮) ও তার ছেলে হাবিব (১৯) কে আটক করেছে পুলিশ।
ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ” এঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, আদালত আটকদের কারাগারে প্রেরণ করেছে।”
সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগ, কোরবানিকে কেন্দ্র করে বসা এই হাটের ইজারাদারের যোগসাজশে তাঁর নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়তই ছিনতাই সহ হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে, হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা।
হাটের পাশে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থান, এখানকার অধিকাংশ ক্রেতারাই রোহিঙ্গা।
এছাড়াও অভিযোগ আছে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে আসা গরু-মহিষ উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে এই হাটে।
ইজারাদার ছৈয়দুল বশরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় মন্তব্য মেলেনি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ” আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে প্রশাসন করণীয় পদক্ষেপ নিবে, ইজারাদারকে সতর্ক করা হয়েছে পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া আছে।”
আহত মোহাম্মদ আজিজ, এখনো আশংকামুক্ত নয় এবং তার ফুসফুসে ক্ষতিসাধন হয়েছে জানিয়ে আজিজের মা – ছেলের উপর হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন।