আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার।। কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৮ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকাল ৪ টায় জালালাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম পালাকাটার শ্বশুর বাড়ি থেকে এটি উদ্ধার হয়। নিহত জমিলা আক্তার (১৯) উক্ত এলাকার মালেশিয়া প্রবাসী নজরুল ইসলামের নববিবাহিতা স্ত্রী।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বিগত সাত মাস পূর্বে একই উপজেলার ঈদগাঁও সদর ইউনিয়নের জাগির পাড়ার শমশুল আলমের কন্যা জমিলা আক্তারের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী জালালাবাদ ইউনিয়নের পালাকাটার শমশুল আলমের ছেলে প্রবাসী নজরুল ইসলামের। পরে স্বামী মালয়শিয়া প্রবাসে চলে যায়।
মঙ্গলবার বিকালে শ্বশুর বাড়ির নিজ কক্ষ থেকে হঠাৎ জমিলার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়। এ সংবাদ পেয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যরা সেখানে ছুটে যান। নিহতের ভাই মনিরের অভিযোগ, তার বোনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। কেননা বিয়ের পর থেকে শ্বাশুড়ি এবং বোন জামাই নানা ভাবে তার বোনকে নির্যাতন করত।সর্বশেষ কোরবানির ঈদে শ্বাশুড়ি তাদের থেকে গরু দাবি করে। গরুর পরিবর্তে ছাগল দেয়ায় নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। যা বোন তাদের কয়েকবার জানায়। সর্বশেষ বিগত ৫/৬ দিন পূর্বে বাবার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে সে শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। তবে মনিরের দাবি, তার বোনের শ্বশুর ভাল লোক। অপরদিকে নিহতের শ্বশুর শামশুল আলম জানান, সাত মাস পূর্বে জমিলাকে পারিবারিক ভাবে পুত্রবধূ বনিয়ে ঘরে তুলেছিলাম। হঠাৎ কেন এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল তা বোধগম্য হচ্ছে না। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো:গোলাম কবির জানান, সংবাদ পেয়ে ঈদগাঁও থানা পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও লোকজনের উপস্থিতিতে কক্ষের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করেন। পরে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে নববধূর হাতের মেহেদীর রং না মুছার পূর্বেই এমন কি ঘটনা ঘটলো নববধূ জমিলাকে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা কিংবা হত্যার শিকার হতে হলো?
এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কৌতুহলের শেষ নেই। তাই তারা তদন্ত পূর্বক নিহতের ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।