ইঞ্জিনিয়ার আরিফ সিকদার বাপ্পী্
ইউএই প্রতিনিধি/উখিয়া নিউজ টুডে।। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার কর্তৃক ঘোষিত এমিনিস্টি কার্যক্রম বা (সাধারণ ক্ষমার সুযোগ) ১ সেপ্টেম্বর থেকে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ প্রদান শুরু হবে। এই সাধারণ ক্ষমা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাসের জন্য কার্যকর থাকবে। ভিসাবিহীন অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রবাসীরা এই সময়ের মধ্যে বিনা জরিমানা ও বিনা জেল দেওয়া ছাড়াই তাদের অবস্থা বৈধকরণ অথবা দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
যারা ইতিমধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ করে অবৈধভাবে বসবাস করছেন, তাদের সাধারণ ক্ষমার সুবিধা নিতে হবে। দুবাইয়ে বসবাসকারীদের আল-আবীর ইমিগ্রেশনে এবং অন্যান্য আমিরাতের ভিসাধারীদের সংশ্লিষ্ট প্রদেশের ইমিগ্রেশনে যেতে হবে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ইউএই সরকার অনুমোদিত টাইপিং তাসহিল/আমের সেন্টার ব্যবহার করতে হবে। দেশে ফেরার জন্য এক্সিট পারমিট নিতে হলে মূল পাসপোর্ট ও দূতাবাস/কনস্যুলেট থেকে ট্রাভেল পারমিট প্রয়োজন হবে।
অবৈধভাবে প্রবেশ করা ব্যক্তিরা পাসপোর্ট এবং পূর্ববর্তী ভিসার তথ্য দিয়ে কনস্যুলেট/দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন থেকে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন। এক্সিট পারমিটের মেয়াদ ১৪ দিন।
জরিমানার ছাড় এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ফি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছেন, তারা পাসপোর্ট/বাংলাদেশি হিসেবে কোন প্রমাণক/সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রমাণক ও পূর্ববর্তী ভিসার তথ্য প্রদানপূর্বক কনস্যুলেট/ দূতাবাস হতে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে হতে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন। ভিসা নিয়মিত করা ও দেশে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এক্সিট পারমিট এর জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। এক্সিট পারমিট প্রাপ্তির পর ১৪ দিন তার মেয়াদ থাকবে।
বাংলাদেশ কন্স্যুলেট দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন জানান, সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে বায়োমেট্রিক্স স্ক্যান করার পর এক্সিট পারমিট ইস্যু করা হবে। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে ভিসা রেকর্ড চেক করার পর কেউ যদি পলাতক/তা’মিম (নিয়োগকর্তা হতে পলায়ন) হয়ে থাকেন, তাহলে দেশে যাওযার জন্য এক্সিট পারমিট অথবা ভিসা নিয়মিত করার জন্য পুলিশ রিপোর্ট লাগবে।
তবে সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন এক্সিট পারমিট নিয়ে দেশে গেলে কোনো প্রকার ব্যান/নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না। সাধারণ ক্ষমার সুবিধা প্রাপ্তির জন্য আদালত থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।
স্পন্সর কর্তৃক ইমিগ্রেশনে জমা দেওয়া পাসপোর্ট পুনরুদ্ধার বিষয়ে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে যোগাযোগ করা হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট হস্তান্তর করবে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কিছু সংখ্যক পাসপোর্ট কনস্যুলেটে/দূতাবাসে হস্তান্তর করেছে যা কনস্যুলেটে/দূতাবাসে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করা যাবে।
সরাসরি সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে গিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসা/আইডি কপি দাখিল করে প্রসেসিং ফি প্রদানের মাধ্যমে জরিমানা মওকুফ করা হবে এবং ছয় মাস মেয়াদি জব সিকার্স ভিসা ইস্যু করা হবে।
অবৈধপথে আমিরাতে যারা প্রবেশ করেছে তারা পাসপোর্ট/বাংলাদেশি হিসেবে কোন প্রমাণক/সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রমাণক ও পূর্ববর্তী ভিসার তথ্য প্রদানপূর্বক কনস্যুলেট/দূতাবাস হতে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন হতে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন।