Ukhiya News Today

২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনামঃ

এসএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজনে বড় পরিবর্তন || সরকারের ভেতরে আরেক সরকার আছে, যারা দলীয় আচরণ করছে: ইশরাক || ছাত্রদলের প্রতিরোধ – উখিয়ায় আওয়ামীলীগের ‘কার্যক্রম’ পন্ডের দাবী || পুকুরে ঝাঁপ দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি ইউপি সদস্যের || নতুন সংবিধান ছাড়া নতুন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই; নাহিদ ইসলাম || আগেও দুইবার নিষিদ্ধ হয়েছিল আ.লীগ  || আ.লীগ পালিয়েছে বলায় বিএনপির ৪ কর্মীকে কুপিয়ে জখম || বিদ্যুৎহীন কক্সবাজার, ভোগান্তি || উখিয়ায় পিতার বাড়িতে মিললো গৃহবধূর মরদেহ, স্বামী পলাতক || অতি দরিদ্র ২০ শতাংশ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুপারিশ || নারী পুলিশ সদস্যকে ইভটিজিং করল রোহিঙ্গা যুবক || টেকনাফে ৪ কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ, আটক ২ || ফিরছেন খালেদা জিয়া: নিরাপত্তার চাদরে মোড়া থাকবে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ফিরোজা || পেকুয়ায় টাকা চুরির ঘটনার কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা || রোহিঙ্গা নারীকে জন্মসনদ দেওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান || লিটারে এক টাকা কমেছে জ্বালানি তেলের দাম  || প্রতিদিন ঢুকছে হাজারো রোহিঙ্গা || উখিয়া কলেজে একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনে শাহজাহান চৌধুরী। || উখিয়ায় স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে সন্তানসহ স্বামী উধাও! || উখিয়ায় বিদ্যালয়ের জমি সংক্রান্ত মামলায় শিক্ষক গ্রেপ্তার! সুষ্ঠু তদন্ত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী | ||

মাধ্যমিকে ফিরছে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা

ডেস্ক রিপোর্ট/উখিয়া নিউজ টুডে।। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এ বছর থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি শাখা) বিভাজন তুলে দেয়া হয়েছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন শিক্ষাক্রমের এ বিষয়টিসহ অনেক কিছু বাদ দিয়ে আবারও মাধ্যমিকে বিভাজন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এ বছর থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি শাখা) বিভাজন তুলে দেয়া হয়েছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন শিক্ষাক্রমের এ বিষয়টিসহ অনেক কিছু বাদ দিয়ে আবারও মাধ্যমিকে বিভাজন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের অনেক বিষয় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব শিক্ষার্থী আগামী বছর নবম শ্রেণিতে উঠবে, তারা পুরোনো শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক পরিমার্জিত পাঠ্যবই (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) পাবে। তারা আগের মতো নবম ও দশম মিলিয়ে দুই শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যসূচি শেষ করে ২০২৭ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে মতে, নতুন শিক্ষাক্রম যে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে সেই কথা উঠে এসেছে। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ এর বিষয়ে মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা তথা অংশীজনদের অভিমত, গবেষণা ও জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও নেতিবাচক ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রকট অভাব ইত্যাদি, নানাবিদ বাস্তব সমস্যা বিদ্যমান থাকায়, এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন যোগ্য নয় বলে প্রতীয়মান। এ পরিপ্রেক্ষিতেই এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রমে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা যা পড়বে-
বর্তমানে যারা নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারা আগামী জানুয়ারিতে দশম শ্রেণিতে উঠবে। তাদের বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয়) নেয়ার লক্ষে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে-২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আলোকে, প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যবইগুলো (২০২৩ সালে ব্যবহৃত বই) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে। বিভাগভিত্তিক এ পাঠ্যবইগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি তৈরি করা হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচি শেষ করতে পারে। একেবারে সহজ করে বললে এখন যেসব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারাও বিভাগ বিভাজনের মাধ্যমেই এসএসসি পরীক্ষা দেবে। তাদের পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে হবে। অর্থাৎ এত দিন ধরে যেভাবে পরীক্ষা হয়েছে সেভাবেই হবে।
অর্ধবার্ষিকীর বাকি মূল্যায়ন হচ্ছে না-
এ বছরের বাকি সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। উল্লেখ, শ্রেণি কার্যক্রমগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রতিটির ছয়টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম বাকি রয়েছে সেগুলো আর অনুষ্ঠিত হবে না। মানে ষাণ্মাসিক বা অর্ধবার্ষিকীর বাকি মূল্যায়ন হচ্ছে না। সংশোধিত ও পরিমার্জন করা মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ এ বছরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শিগগির বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে।
তবে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যপুস্তকগুলো এ বছর বহাল থাকবে। কিন্তু ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জন করা পাঠ্যবই সরবরাহ করা হবে।
প্রাথমিকের বই-
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে ধারাবাহিকতা রেখে ইতিমধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইগুলোর পাণ্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। এ ক্ষেত্রে যত দূর সম্ভব মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর মতো হবে। মানে পরীক্ষাই প্রাধান্য পাবে।
পরিপত্রে বলা হয়, শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করা হবে।

Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *