দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ হওয়ার বিশেষত্বটা মহেশখালীকে আলাদা করেছে আর সব উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে। শুধুই কি পাহাড়ের চূড়া থেকে পাখির চোখে দ্বীপ দর্শন! এখানে আছে দেশের অকৃত্রিম সব সৌন্দর্যের উপাদান।
চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত প্রশাসনিকভাবে স্বীকৃত এক উপজেলা মহেশখালী। ৩৬২ দশমিক ১৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলাটি মহেশখালী, সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা- এই চারটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
মহেশখালীর দর্শনীয় স্থান
কিংবদন্তির সেই আদিনাথ মন্দির এখন সাগরবেষ্টিত মহেশখালী দ্বীপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৫ দশমিক ৩ মিটার বা ২৮০ ফুট উঁচুতে মৈনাক পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত মন্দিরটিতে উঠতে হয় ৬৯টি সিঁড়ি বেয়ে। এই উচ্চতা থেকে চারপাশে দ্বীপের প্রায় পুরোটাসহ চোখে পড়ে ম্যানগ্রোভ বন, পানের বরজ ও ফেনীল বঙ্গোপসাগর।
ঢাকা থেকে মহেশখালী দ্বীপ যাওয়ার উপায়
মহেশখালীতে যাওয়ার চিরাচরিত এবং রোমাঞ্চপ্রিয়দের জন্য প্রিয় পথটি হচ্ছে কক্সবাজারের সমুদ্রপথটি। এর জন্য সড়ক, রেল কিংবা আকাশপথে প্রথমে কক্সবাজার আসতে হবে।
ঢাকার যাত্রাবাড়ি, মালিবাগ, কলাবাগান, ফকিরাপুল, মহাখালী অথবা গাবতলী থেকে পাওয়া যাবে কক্সবাজারের বাস। মানভেদে এগুলোর সিট ভাড়া নিতে পারে মাথাপিছু ৯০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা।
২০২৩ এর ১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস রেলপথ চালু হয়েছে। মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহের বাকি ৬দিন শুধুমাত্র চট্রগ্রামে যাত্রা বিরতি দিয়ে চলাচল করে এই ট্রেন। শোভন চেয়ারে জনপ্রতি ৬৯৫ টাকা আর স্নিগ্ধাতে জনপ্রতি ১ হাজার ৩২৫ টাকা ভাড়ায় পুরো যাত্রায় সময় লাগে ৯ ঘণ্টা।
মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রার সম্পন্ন করতে চাইলে আকাশপথে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে বিমান ভাড়া বাবদ খরচ হতে পারে সিটপ্রতি ৪ হাজার ৫৯৯ থেকে শুরু করে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ন্যূনতম ১ মাস হাতে নিয়ে অগ্রিম টিকেট বুকিং দেওয়া হলে মূল্যে বেশ কিছুটা ডিস্কউন্ট পাওয়া যেতে পারে।