নিজস্ব প্রতিবেদক।
উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তৎকালীন প্রভাবশালী সদস্য সৈয়দ আলম ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী জিসান এবং মুজিব রাজনৈতিক ভোল্ট পালটিয়ে এখন বিএনপিতে যোগদানের দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছে। সিন্ডিকেটটি আওয়ামীলীগের প্রভাব কাটিয়ে জোরপূর্বক অন্যের জমি-জামা দখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, চক্রটির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে জমিজমা বেদখল সহ একাধিক মামলা রয়েছে। অভিযুক্ত রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য জেল ফেরত আসামী ছৈয়দ আলম ফের বিএনপির রাজনীতিতে সংখ্যতা গড়ে তুলে তার অপকর্ম চালিয়ে গেলেও স্থানীয় বিএনপি নিরব।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে তারা বাপ-ছেলে অনৈতিক সুবিধার জন্য বিএনপি নেতাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে দৌড়ঁঝাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামীলীগের আমলে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সাথে গভীর সম্পর্ক থাকায় শেখপাড়া এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস ছিল না। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একই এলাকার সিরাজুল কবির এবং ফিরোজ আহম্মেদের জমিও দখল করে নিয়েছিলেন তারা।
দখলবাজি ও অন্যন্য অপকর্মের শেল্টারদাতা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলে তারা এখন শেল্টারদাতা খুজতে বিএনপি’র আশ্রয় নিতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সাথে বিভিন্ন কলা-কৌশল কাটিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে এলাকায় বিএনপি পন্থী কার্যক্রমে ভাবিয়ে তুলছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
স্থানীয়রা বলছে, তারা আওয়ামীলীগের সুফল খেয়ে এখন বিএনপি’র সুফল পেতে জাত পালটিয়ে নানান মুখী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের পুর্বের তথ্য উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিএনপি’র উর্ধতন নেতাদের প্রতি জোরদাবি জানান তারা।
রাজনৈতিক ভোল্ট পাল্টানোর কারণ জানতে সৈয়দ আলম ও জিসানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় প্রতিবেদক।
এদিকে বিএনপি’র উর্ধতন নেতাকর্মীদের মতে আওয়ামীলীগের সুফল খাওয়া ব্যক্তি বিএনপিতে ডুকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুসিয়ারী দেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফলে কোন আওয়ামীলীগের পন্থি ব্যক্তি বিএনপিতে ডুকার সুযোগ নেই।