ডেস্ক রিপোর্ট।। ডবলমুরিং থানার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদিকে চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে হাজির করা হয়নি। এ কারণে দুইজন সাক্ষী— কক্সবাজার জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের স্টাফ জসিম উদ্দিন ও প্রনব বড়ুয়া—সাক্ষ্য না দিয়েই ফিরে যান।
দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু জানিয়েছেন, বদি বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। আদালতের নির্দেশনা থাকলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাকে হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারিতেও একই ঘটনা ঘটেছিল, সেদিনও তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে পারেননি।
কারা কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানিয়েছে, বদিকে চট্টগ্রামে স্থানান্তরের জন্য গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে পুলিশ দল চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হলেও সেটি পাওয়া যায়নি। যার ফলে তাকে আদালতে আনা সম্ভব হয়নি।
২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন উপপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ নগরীর ডবলমুরিং থানায় বদির বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, বদি, তার স্ত্রী শাহীন আকতার ও মেয়ে সামিয়া রহমানের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ১১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৭ টাকা, তবে আয়কর রিটার্ন ও দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। ফলে তার বিরুদ্ধে প্রায় ৭৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ২৪ জুন মামলাটির চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। মামলায় মোট ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন ইতোমধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন।